স্ক্রল করা বন্ধ করুন

Psychology

স্ক্রল করা বন্ধ করুন

স্মার্টফোন ব্যবহারে হই সচেতন 

আমাদের ছোট স্মার্ট মোবাইল ফোনটি হল এক ধরণের মাদকের মত। এই ফোনটি হাতে থাকলে পৃথিবীর আর কিছুরই যেন প্রয়োজন হয় না। 

সত্যি, মোবাইল ফোন ব্যবহার করে আমরা অফিসের ইমেইল আদান-প্রদান, বিল পরিশোধ,পড়াশোনা, বিনোদন ইত্যাদি সব কাজই সহজেই করে ফেলতে পারি।

তবে আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা ফোনের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার ফিড দেখতে দেখতে ঘন্টার পর ঘন্টা পার করে দিতে পারি।

আবার, অনেকেই মনে করেন ফোনের কনটেন্ট পড়তে থাকলে অনেক ধরনের নেতিবাচক চিন্তা থেকে দূরে থাকা যায়। সাময়িকভাবে এটি কার্যকরী হলেও পরবর্তীতে ঘুমের ব্যাঘাত, হতাশা, দুশ্চিন্তা ইত্যাদি নানাবিধ জটিল সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।

মোবাইলের স্ক্রিনের প্রতি আসক্তি এই সমস্যাটি ছোট থেকে বড় যেকোনো বয়সের মানুষেরই হতে পারে। এই কারণে এই পোস্ট থেকে আমরা জানবো কিভাবে আমরা স্ক্রিন থেকে দূরে থাকতে পারবো।

১।ফোনের নোটিফিকেশন বন্ধ রাখুন

প্রথমত, ফোনের নোটিফিকেশন বন্ধ রাখুন। এখন দেখা যায় বিভিন্ন পেইজে লাইক দেয়ার সাথে সাথে আমরা সোশ্যাল মিডিয়াতে ঐ পেইজ রিলেটেড সব নোটিফিকেশন আমাদেরকে দেওয়া হয়। যদি এই নোটিফিকেশনগুলো আপনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ না মনে হয় তবে অ্যালার্ট অপশনে গিয়ে নোটিফিকেশন বন্ধ রাখুন।

আবার, অনেকেই আছেন যারা মনে করেন ফোন না দেখলে তারা অনেক কিছু মিস করে ফেলছেন আসলে এই ধারণা সঠিক নয়। নোটিফিকেশন এর মধ্যে যদি কাজের কোন গুরুত্বপূর্ণ ইমেইলের নোটিফিকেশন হয় তবে সেটি চালু রাখতে পারেন।

২। খাবারের সময় ফোন ব্যবহার না করা

খাবারের সময় টিভি ও মোবাইল ফোন ব্যবহার করবেন না।খাবারের সময় মনোযোগ সহকারে প্রতিটি খাবার খাবেন। 

৩। বিছানার পাশে ফোন না রাখা

বেডরুমে বিছানার পাশে ফোন  চার্জে রাখবেন না। কারণ অনেক সময় দেখা যায় এতে করে ঘুমাতে যাওয়ার সময় অথবা ঘুম থেকে ওঠার পর ফোন দেখার প্রবণতা বেড়ে যায়। ঘুমাতে যাওয়ার সময় ফোন  বিছানায় না নিয়ে যাওয়াই ভালো। এতে করে ঘুম আসতে দেরি হতে পারে।

৪।অনলাইনে শপিং কমানো

করোনার পর থেকে মানুষের মধ্যে অনলাইনে শপিংয়ের প্রবণতা বেড়ে গিয়েছে। অনলাইনে শপিং করার সময় কি কি জিনিস কিনবো সেগুলো নিয়ে একটি লিস্ট তৈরি করে নিলে ভালো হয়।

এতে করে স্ক্রলিং অনেক কমে যাবে।এছাড়া অফলাইনে বা বাজারে গিয়ে কেনাকাটা করলে ভালো হয়।

৫।হাতঘড়ি ব্যবহার করা

স্মার্টফোন হওয়ার কারণে মানুষকে আর আগের মত হাতঘড়ি বা রিস্টওয়াচ পড়তে দেখা যায় না।তবে আমাদের পরামর্শ হলো সময় জানার জন্য ফোনের জায়গায় হাতঘড়ি ব্যবহার করা।

৬। ক্যালেন্ডার ব্যবহার করা

 হাত ঘড়ির মতো আরেকটি বিলুপ্তপ্রায় জিনিস হল ক্যালেন্ডার আপনার প্ল্যানগুলো বা অ্যাপোয়েন্টমেন্ট গুলো ফোনের ক্যালেন্ডার এর রেকর্ড না করে ওয়াল ক্যালেন্ডার বা ডেস্ক ক্যালেন্ডারের লিখে রাখুন। অথবা ডায়েরি ব্যবহার করুন।

৭।নোটপ্যাড ব্যবহার করা

ডিজিটাল নোটপ্যাড এর পরিবর্তে যেকোনো নোটপ্যাড ব্যবহার করা যেতে পারে।

৮।ফোনে অ্যালার্ম না দেওয়া

আমরা প্রতিদিন ফোনের অ্যালার্মে ঘুম থেকে উঠি। ফোনে অ্যালার্ম না দিয়ে ঘড়িতে অ্যালার্ম সেট করুন।

৯। স্মার্টফোন থেকে ব্রেক নিন

আমাদেরকে মনে রাখতে হবে ফোন দেখা কোন ব্রেক নয়।বরং কাজ থেকে বিরতি নিতে চাইলে এক্সারসাইজ করতে পারেন। অথবা স্ক্রিন বাদে অন্য যেকোনো ধরনের এক্টিভিটিতে নিজেকে ইংগেইজ করতে পারেন।

১০। সদিচ্ছা মাধ্যমে স্মার্টফোনের ব্যবহার কমানো

স্মার্টফোন ব্যবহার কমানোর জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সদিচ্ছা।স্মার্টফোন সময় বেঁধে ব্যবহারের নিয়ম তৈরি করুন।

স্মার্টফোন ব্যবহারে হই সচেতন 

১।ফোনের নোটিফিকেশন বন্ধ রাখুন।

২। খাবারের সময় ফোন ব্যবহার না করা।

৩। বিছানার পাশে ফোন না রাখা।

৪।অনলাইনে শপিং কমানো।

৫।হাতঘড়ি ব্যবহার করা।

৬। ক্যালেন্ডার ব্যবহার করা।

৭।নোটপ্যাড ব্যবহার করা।

৮।ফোনে অ্যালার্ম না দেওয়া।

৯। স্মার্টফোন থেকে ব্রেক নিন।

১০। সদিচ্ছার মাধ্যমে স্মার্টফোনের ব্যবহার কমানো যায়।

Leave your thought here

Your email address will not be published. Required fields are marked *