কালক্ষেপন (Procrastination)
কালক্ষেপন (Procrastination)
কালক্ষেপন (Procrastination) বা গড়িমসি করা থেকে বিরত থাকবো কিভাবে?
স্টুডেন্ট হিসেবে আমাদের মধ্যে বেশির ভাগই আমাদের এসাইনমেন্ট জমা দেয়ার ঠিক আগের দিন কাজ শুরু করি। আবার অনেকে এমন আছেন যারা ওজন কমানোর কথা ভাবলেও কালকে থেকে ডায়েট শুরু করবেনবলে মাসের পর মাস চলে যায়।
এই একই ধরনের কাজ ফেলে রাখার প্রবণতা আমরা দিনের অনেক কাজের সাথেই করতে পারি।
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা কাজ ফেলে রাখেন এটা মনে করে যে মুড ভালো হলে কাজটি করবেন। অনেক সময় আমরা কোন কাজকে ফেলে রাখি কারণ সেই কাজটি গুরুত্বপূর্ণ হলেও আমাদের কাছে সেটিবোরিং অথবা কঠিন। আবার ওজন কমানোর মত কাজ আমাদের তাৎক্ষণিক কোন ফলাফল না দিতে পারেসেক্ষেত্রে একটা দীর্ঘ সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা আমাদের পক্ষে কঠিন হয়ে যায়।
এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা আজকে জানবো কিভাবে কালক্ষেপণ না করে দৈনন্দিন কাজগুলো সুন্দরভাবেশেষ করা যায়।
দিনে কি কি কাজ করতে হবে তার লিস্ট তৈরি করে রাখুন।
বড় বড় কাজকে ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে নিন।
প্রয়োজনে কাজ করার সময় ও তারিখ লিখে রাখতে পারেন।
এই লিস্টের মধ্যেই আপনি কোন কাজগুলোকে প্রায়োরিটি দিয়ে আগে করে ফেলবেন কোনগুলোকে পরেকরবেন তা মার্ক করে রাখতে পারেন।
একটি দিনের ছোট ছোট কাজগুলো শেষ হলে নিজেকে মোটিভেটেড রাখার জন্য ছোট কোন উপহার বাপুরস্কার দিতে পারেন।
টু ডু লিস্টকে সাজানোর জন্য বিভিন্ন ক্যাটাগরি তে কাজগুলোকে ভাগ করে নিন এর মধ্যে আসতে পারেফ্যামিলি, বিনোদন,বাসার কাজ এবং অফিসের কাজ ইত্যাদি।
২। ডিস্ট্রাকশন থেকে দূরে থাকুন
আপনার চারিপাশে কি কি বিষয় আপনার জন্য ডিস্ট্রাকশন হতে পারে সেগুলোকে দ্রুত চিহ্নিত করুন। যেমনকখনো কখনো আপনার ফোন ডিস্ট্রাকশন হিসেবে কাজ করতে পারে। সে ক্ষেত্রে ফোন জমা রেখে বা অন্যঘরে রেখে কাজ করুন।
ফোন থেকে অপ্রয়োজনীয় app যা সময় নষ্ট করে সেগুলো মুছে ফেলুন।
প্রতিদিন বা এক সপ্তাহের জন্য ছোট ছোট গোল সেট করে নিলে কাজে আনন্দ বৃদ্ধি পাবে।
ছোট ছোট গোল সেট করে তা পূরণ করতে পারলে আপনার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পাবে।
অনেকে আছে আজকে কাজকে পারফেক্ট করতে গিয়ে শেষ করতে চায় না। সে ক্ষেত্রে আমাদের পরামর্শ হলোএমন গোল সেট করা যেখানে কাজটিকে শেষ করাই প্রাধান্য পাবে।
দীর্ঘসূত্রিতা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আমরা আমাদের বন্ধুদের সাহায্য নিতে পারি আমাদের বন্ধুদের বাপরিবারের সদস্যদের কাছে নিজেদের গোল গুলোকে শেয়ার করা যেতে পারে এবং আমাদের কাজে কেমনঅগ্রগতি হচ্ছে কিনা এ বিষয়ে তাদের সাথে আলোচনা করা যেতে পারে। এরকমও হতে পারে কাজটি করতেআমরা তাদের সাহায্য নিতে পারি।
৫। প্রয়োজনে বিশ্রাম বা বিরতি নিন
অনেক সময় আমরা কোন কাজে গড়িমসি করি কারণ আমরা ক্লান্ত থাকি অথবা স্ট্রেসের মধ্যে থাকি। এইসময়গুলোতে অনেক সহজ কাজও আমাদের কাছে কঠিন মনে হতে পারে। ক্লান্ত থাকলে আমাদের কাজেবিরক্তি চলে আসবে এটাই স্বাভাবিক। আবার, দুশ্চিন্তায় থাকলে কোন কাজ আমরা মনোযোগ সহকারেকরতে পারবো না এরকমও হতে পারে। সেই কারণে প্রয়োজন পড়লে আগে বিশ্রাম নিন পরে কাজ করুন।
আসলে যারা কালক্ষেপন করেন তাদের জন্য কাজ শেষ করার চেয়ে কাজ শুরু করার প্রতি গুরুত্ব দিতে হবেবেশি।একবার কাজ শুরু করতে পারলে ও কাজটির সাথে লেগে থাকলে তা অবশ্যই শেষ হবে।
কালক্ষেপন (Procrastination) বা গড়িমসি করা থেকে বিরত থাকবো কিভাবে?
১। কাজের লিস্ট তৈরি করুন।
২। ডিস্ট্রাকশন থেকে দূরে থাকুন ।
৩। গোল সেট করুন।
৪। বন্ধুদের সাহায্য নেওয়া।
৫। প্রয়োজনে বিশ্রাম বা বিরতি নিন।