স্ট্রেসের কারণে খাওয়া
স্ট্রেসের কারণে খাওয়া
স্ট্রেস ইটিং (Stress Eating or Emotional Eating) আমাদের জীবনের প্রতিদিনের কারণে নানা ধরনের মানসিক চাপের মোকাবিলা করতে হয়। আমরা অনেকেই মানসিক চাপ মোকাবিলা করার জন্য বিভিন্ন রকমের কমফোর্ট ফুড খেয়ে থাকি। এর মধ্যে জাতীয় খাবার যেমন:
- চকোলেট
- মিষ্টি
- কেক
- পিৎজা
- আইসক্রিম
আবার, চিপস কিংবা ভাজাপোড়া জাতীয় খাবারও হতে পারে।
ধরুন, শুধু খারাপ থাকলেই মানুষ ওভারইটিং করে তা নয় বরং হতাশা ও একাকীত্ব কাটানোর জন্যও মানুষ খাবার খেতে পারে। আপনি একাকী অনুভব করলেও অনেক সময় স্ট্রেস ইটিং করতে পারেন।
অনেকেই আছেন যারা বলবেন আমার মন খারাপ হলেও এখন কিছু না কিছু খেতে হবেই। দীর্ঘদিন মানসিক চাপ থাকলে আমাদের শরীর থেকে এক ধরনের হরমোন নিঃসৃত হয় যা আমাদের অ্যাপেটাইট বাড়িয়ে দেয়। এটা এক ধরনের ইমোশনাল ইটিং বলা যেতে পারে। যেসব মানুষ মনে করেন যে বর্তমান মানসিক চাপের মোকাবিলায় কিছুই করার নেই, তখন স্ট্রেস কমাতে আমাদের মনোযোগ অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া (Distraction)। ফলস্বরূপ তখন কিছু না পেলেও আমরা খাবার খেতে থাকি।
স্ট্রেস ইটিং-এর কিছু কার্যকরী উপায়:
- স্ট্রেস মোকাবেলায় পানি খাওয়া যেতে পারে।
- কী কী কারণে স্ট্রেস অনুভব করছেন সে সম্পর্কে লিখুন।
- চা পান করা।
- ১৫ মিনিটের জন্য হাঁটতে বের হওয়া। নিয়মিত ব্যায়াম করলে শরীরের হরমোনের মাত্রা কমে যায়।
- গোসল করা।
- মাইন্ডফুলনেস অ্যাক্টিভিটিস চর্চা করা।
- দীঘদিন মেডিটেশন প্র্যাকটিস করা।
- চকোলেটের পরিবর্তে ডাক চকোলেট খেতে পারেন।
- প্রতিদিনের নিত্যনতুন খাবার খেতে পারেন।
- রঙিন হলুদ ব্যবহার করুন। হলুদ বিদ্যমান কারিকুলাম দূর করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
স্ট্রেস ইটিং নিয়ে সচেতন হন। স্ট্রেসের সময় মনকে যাতে বিভ্রান্ত না করেন।
আমাদের কাছে এমন অনেকেই আছেন যারা বলবেন আমার স্ট্রেস হলে আমি কিছুই খেতে পারি না। স্ট্রেস এই রূপ খুবই স্বাভাবিক তবে দীর্ঘদিন মানসিক চাপ থাকলে আমাদের শরীর থেকে এক ধরনের হরমোন নিঃসৃত হয় যা আমাদের অ্যাপেটাইট বাড়িয়ে দেয়।
স্ট্রেস ইটিং-এর কিছু কার্যকরী উপায়:
- বোঝার চেষ্টা করুন কখন কখন আপনার স্ট্রেস হয়?
- কী কী কারণে স্ট্রেস অনুভব করছেন সেগুলো লিখুন।
- যেসব কারণে সমাধানযোগ্য তার প্রতিকার করুন।
- পানীয় গ্রহণ করুন বা নিউট্রিশনিস্টের পরামর্শ অনুযায়ী খাবার গ্রহণ করুন।
- মিনিটের জন্য হাঁটতে বের হওয়া। নিয়মিত ব্যায়াম করলে শরীরের হরমোনের মাত্রা কমে যায়।
- মাইন্ডফুলনেস অ্যাক্টিভিটিস চর্চা করা।
- মেডিটেশন অনুশীলন করা।