তাহলে ওসিডি চক্রে আমরা দেখতে পাচ্ছি –
এখানে দেখতে পাচ্ছি ওসিডি চক্র শুরু হচ্ছে যেকোন পরিস্থিতিতে অস্বস্তিকর ভাবনা থেকে। এরপর যে চিন্তা বারবার মাথায় আসছে তা নিয়ে দুশ্চিন্তা করা শুরু হয়। এরপর কোনো ধরনের ক্ষতি যাতে না হয়, সেজন্য কিছু কাজ করা
(এড়িয়ে চলা, নিজেকে আশ্বস্ত করা, অন্যকে দায়িত্ত্ব দিয়ে দেওয়া)। সেটাই তখন ব্যাক্তি বারবার করতে থাকে। এতে সাময়িক ভাবে অস্থিরতা কমে এবং ব্যক্তির বিশ্বাস হতে শুরু করে যে এই আচরণ করার কারণে অস্থিরতা কমতে পারে। সময়ের সাথে সাথে তারা বিশ্বাস শক্ত হতে থাকে যে তারা এই আচরণ না করলে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না – এভাবেই চলতে থাকে চক্র!
শাকিলার ওসিডি চক্রে দেখতে পাচ্ছি
১। অস্বস্তিকর ভাবনা: যেকোনো পরিস্থিতিতে হঠাৎ করে অস্বস্তিকর ভাবনা মাথায় আসে। যেমনঃ শাকিলা মনে করে ‘নোংরা’ বা ‘জীবাণুমুক্ত’ জিনিস স্পর্শ করা ইত্যাদি।
২। দুশ্চিন্তা করা: শাকিলা মাথায় চিন্তা বারবার মাথায় আসতে দেখে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। যেমনঃ “আমি সংক্রমিত হয়ে গেছি”, “আমি অন্য কাউকে অসুস্থ করে দিতে পারি”।
৩। কম্পালসনঃ কোনো ক্ষতি যাতে না হয়, সেজন্য শাকিলা কিছু কাজ করা শুরু করে। যেমনঃ হাত ধোয়া, কাপড় বদলানো, এড়িয়ে চলা, নিজেকে আশ্বস্ত করা, অন্যকে দায়িত্ব দেওয়া ইত্যাদি।
৪। আচরণ বারবার করা: এ আচরণ সে বারবার করতে থাকে। এতে সাময়িকভাবে অস্থিরতা কমে যায়।
৫। ভুল বিশ্বাস গড়ে ওঠা: কিন্তু এতে তার মধ্যে ভুল বিশ্বাস করতে শুরু করে যে এই আচরণ করার কারণেই অস্থিরতা কমছে। তাই বারবার এই আচরণ করতে থাকে।
সময়ের সাথে সাথে চক্র শক্তিশালী হয়: সময়ের সাথে সাথে এই বিশ্বাস আরও দৃঢ় হয়ে ওঠে। শাকিলা মনে করতে শুরু করে যে এই আচরণ না করলে সে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। এভাবেই এই চক্র চলতে থাকে!
আপনি কি আপনার চক্রটা বুঝতে পারছেন? এবার একই ভাবে নিজের চক্রটি আকার চেষ্টা করুন। নিজের চক্র বুঝতে পারলেই – কোন ধাপে কি কি করলে আপনার লক্ষণ আপনি কমাতে পারবেন তা বুঝতে পারবেন!