এড়িয়ে চলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ আচরণঃ
ওসিডির কারণে আমাদের মধ্যে প্রায় বিভিন্ন জিনিস এড়িয়ে চলার আচরণ তৈরি হয়, যেমনঃ বারবার হাত ধোয়া, যে কোন জায়গায় গিয়ে সাবান দিয়ে বার বার হাত ধোয়া, পাবলিক টয়লেট ব্যবহার না করা, ঘরে ফেরার পর ঘরের সব কিছু পরিষ্কার করতে শুরু করা, পরিবারের বাইরের কাউকে নিজের রুমে প্রবেশ না করতে দেওয়া, গোসলে অনেক সময় লাগানো ইত্যাদি।
আমরা ইতোমধ্যে জানি আমরা এই আচরণগুলো আমাদের চিন্তা যাতে সত্যি না হয়ে যায় তাই বারবার করতে থাকি, নিজেকে নিরাপদ রাখতে চাই। কিন্তু বিভিন্ন সেশনের আলোচনায় আমরা দেখেছি যে আমরা আসলে যা নিয়ে ভয় পাই সেগুলোর সম্ভাবনা একদমই ক্ষীণ। তার মানে আমরা এই ভয় থেকে যা করছি সেগুলোরও প্রয়োজন নেই।
🔄অপ্রয়োজনীয় কাজঃ Counterproductive Behavior
এখানে সেই আচরণগুলোর কথাই বলা হয়েছে যেগুলো আপনি ওসিডির ভয়ে করছেন – নিজেকে নিরাপদ রাখার জন্য। কিন্তু দেখা যায় এই আচরণের কারণেই ওসিডি আরো বাড়তে থাকে!
👉 অর্থাৎ আপনি ভাবছেন, আপনি সমাধান করছেন —
কিন্তু বাস্তবে আপনি আপনার ভয়ের মুখোমুখি হচ্ছেন না!
- অতিরিক্ত সাবান বা স্যানিটাইজার ব্যবহার করা
- দরজার হ্যান্ডেল না ধরা, বা রুমে ঢোকার আগে গ্লাভস পরা
- ‘নোংরা’ হয়ে যেতে পারে এমন জিনিস পুরোপুরি এড়িয়ে চলা
- বাইরে থেকে কিছু আনলে বারবার জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করা
✅ আপনি মনে করছেন — “ এই আচরণের কারণে আমি নিরাপদ আছি!।”
❌ কিন্তু আসলে — আপনি শিখছেন না যে এসব ঘটনাগুলো আসলে এতটা ভয়াবহ কিছুও নয়!
🚫 সহনীয় করার চেষ্টা (Neutralizing Actions)
📌এখানে এমন আচরণের কথা বলা হয়েছে যেগুলো আমরা ওসিডি অস্বস্তি তৈরি হওয়ার আগেই করতে শুরু করি। এতে আপনি মনে করতে শুরু করেন যে “আমি আগে থেকে নিরাপদ – আমি আর কোন সমস্যায় পড়বো না”
উদাহরণঃ
- মনের মধ্যে বারবার ভাবা: “আমি নিরাপদ, আমি জীবাণুমুক্ত”
- জুতার সঙ্গে ঘরের মেঝে ছুঁয়ে গেলে পুরো ঘর ধোয়া
- কাউকে ছোঁয়ার পর তিনবার হাঁচি না আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করা, যেন “ব্যালেন্স” হয়
👉 এগুলো আপনি OCD-র ভয়কে “নিরপেক্ষ করতে” করেন।
❌ সমস্যা হলো — প্রতিবার আপনি যখন neutralize করেন,
আপনার মস্তিষ্ক শিখে যায়:
“ভয়টা সত্যি ছিল, তাই আমাকে এটা করতেই হলো।”