যদিও ওসিডির চিন্তা, অনুভূতি ও আচরণের সবগুলো দিকই গুরুত্বপূর্ণ, মূলত আপনি যা করেন— যেমন নিয়ম মানতেই হবে (রিচ্যুয়াল), এড়িয়ে চলা, বারবার নিশ্চয়তা চাওয়া—এসবই ওসিডিকে টিকিয়ে রাখে। এটি আরও পরিষ্কারভাবে বোঝাতে আমরা contamination OCD-এর একটি উদাহরণ দেখি।
যেমন শাকিলা, যিনি প্রায়ই উদ্বিগ্ন/অস্থির হয়ে পড়েন যদি তার হাতে কোনো জীবাণু থেকে থাকে। প্রতিবার বাইরে থেকে ঘরে ঢোকার পর, কোনো কিছু স্পর্শ করার পর বা কারও কাছাকাছি যাওয়ার পর তিনি মনে করেন, “হয়তো আমার হাতে ভাইরাস বা জীবাণু লেগে গেছে” অথবা “আমি যদি বাসার কাউকে অসুস্থ করে দেই?” এই চিন্তাগুলো তাকে ভীষণ উদ্বিগ্ন করে তোলে।
এই উদ্বেগ কমাতে তিনি ঘন ঘন হাত ধুতে থাকেন, কখনো কখনো একবারেই ১৫-২০ মিনিট ধরে সাবান দিয়ে ঘষে ঘষে হাত পরিষ্কার করেন। কখনো আবার এক জিনিস ছোঁয়ার পর তিনি বারবার কাপড় বদলান বা সেই জিনিসটা স্পর্শ না করেই এড়িয়ে চলেন। এই ধরণের রিচ্যুয়াল বা এড়িয়ে চলার অভ্যাস তার উদ্বেগ সাময়িকভাবে কমিয়ে দেয়, কিন্তু এতে তার দৈনন্দিন জীবন বিঘ্নিত হয়।
যদি আমরা এটি একটি চক্রাকারে চিন্তা করি, তাহলে দেখা যায়:
পরিস্থিতি: কিছু ‘নোংরা’ বা ‘জীবাণুযুক্ত’ জিনিস স্পর্শ করা →
চিন্তা: “আমি সংক্রমিত হয়ে গেছি”, “আমি অন্য কাউকে অসুস্থ করে দিতে পারি” →
অস্বস্তি: উদ্বিগ্নতা, অপরাধবোধ →
আচরণ: হাত ধোয়া, কাপড় বদলানো, এড়িয়ে চলা →
স্বস্তি: সাময়িক স্বস্তি →
পুনরাবৃত্তি: আবার কোনো নতুন ট্রিগার/পরিস্থিতি আসলে একই চক্র শুরু হয়।
এইভাবে একটি ‘দুষ্ট চক্র’ (vicious circle) তৈরি হয়, যা শাকিলা ওসিডিকে বারবার সক্রিয় রাখে এবং তা কাটিয়ে উঠতে বাধা দেয়।