ওসিডি তৈরির ভিত্তিগুলো একবার দেখে আসিঃ
আমরা এখানে দেখেছিলাম যেঃ অতীতের ঘটনায় ছোটবেলায় “ময়লা” বা “অপরিষ্কার” হওয়ার জন্য অতিরিক্ত তিরস্কার পেতেন এবং বড় হওয়ার পর কোভিড-১৯ এর মহামারী তে নিজে ও পরিবার সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার (আকস্মিক ঘটনা)ফলে ব্যক্তির জীবনের নীতি / রুলস অফ লাইফ/ সাধারণ বিশ্বাস তৈরি হয়েছে যেঃ “যেকোনো কিছু ছোঁয়ার পরে না ধুয়ে থাকলে জীবাণু ঢুকে যাবে” এবং “সম্পূর্ণরূপে পরিষ্কার না হলে, ততক্ষণ আমি নিরাপদ নই”! ধীরে ধীরে মধ্যে নানা ধরণের অস্বস্তিকর চিন্তা, ছবি, সন্দেহ তৈরি হতে শুরু করে যেমনঃ “হয়তো আমার হাত এখনও পরিষ্কার হয়নি।”
তিনি এর ভ্রান্ত ব্যখ্যা ও মাত্রাতিরিক্ত দায়িত্ববোধ থেকে মনে করতে শুরু করলেন যে “হাত ধোয়ার পরেও যদি জীবাণু থেকে যায়?” বারবার মনোযোগ দেওয়ার প্রবণতাও বাড়তে থাকে যেমনঃ সবসময় লক্ষ্য করতে থাকেন কারো কাশি/হাঁচি, ময়লা, অপরিষ্কার টয়লেট, তার অনুভূতির পরিবর্তন হতে থাকে যেমনঃ অস্থিরতা, দুশ্চিন্তা, মন খারাপ। এই অনুভূতি থেকে সরানোর জন্য সেইফটি বিহেভিয়ার / নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ আচরণ করে ফেলে যেমনঃ Counterproductive behavior (অপ্রয়োজনীয় আচরণ) / Neutralizing Action (সংশোধন করাঃ হাত ধোয়া, চেক করা, প্রার্থনা, মনে মনে দোয়া পড়া, থুতু দেওয়া ইত্যাদি! – এখানে খেয়াল করি বারবার মনোযোগ দেওয়া, নেতিবাচক অনুভূতির প্রতি গুরুত্ব দেওয়া এবং সেইফটি বিহেভিয়ার / নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ আচরণগুলো শুরু হচ্ছে ভ্রান্ত ব্যাখ্যার ফলেই এবং এর ফলেই অস্বস্তিকর চিন্তা, সন্দেহ, ছবি তার মাথায় আরো ঘুরতে থাকে!
সেই সাথে আলোচনা করেছিলাম, কি কি চিকিৎসা পদ্ধতি আমরা অনুশীলন করবো আজকে থেকে। আরো আলোচনা ও অনুশীলন করেছিলামঃ
- ইমাজিনারী রিলাক্সেশন ও ঘুমের সমস্যা ও সমাধান।